বিদ‍্যালয়ের গেটে পোষ্টার , প্রতিবাদ মিছিল : কোয়ারেন্টিন সেন্টার করার প্রতিবাদে বর্ধমান শহরে বিক্ষোভ

30th May 2020 বর্ধমান
বিদ‍্যালয়ের গেটে পোষ্টার , প্রতিবাদ মিছিল : কোয়ারেন্টিন সেন্টার করার প্রতিবাদে বর্ধমান শহরে বিক্ষোভ


নিজস্ব সংবাদদাতা ( বর্ধমান ) : পরিযায়ী শ্রমিকরা ফিরছে ভিন রাজ‍্য থেকে । ফলে দুশ্চিন্তার ভাঁজ চওড়া হচ্ছে প্রশাসনের কপালে । স্বাস্থ‍্য দপ্তরের গাইডলাইন মেনেই পদক্ষেপ নিতে হচ্ছে জেলায় জেলায় । পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকেও পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে । যে সমস্ত পরিযায়ী শ্রমিক বা ভিন রাজ‍্যে আটকে থাকা তীর্থযাত্রী রা ফিরছেন তাদের ৭ দিন সরকারী কোয়ারেন্টিন সেন্টারে বাধ‍্যতামূলকভাবে থাকতে হবে । তারপর শারীরিক অবস্থা অনুসারে পাঠানো হবে হোম কোয়ারেন্টিনে । যে পরিমানে প্রতিদিন পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে ট্রেন আসছে বর্ধমানে তার ফলে কোয়ারেন্টিন সেন্টার করার জন‍্য সরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলিকে চিহ্নিত করা হয়েছে । আর এখানেই শুরু হয়েছে আর এক বিপত্তি । সরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির আশপাশের মানুষ আতঙ্কে বিক্ষোভ শুরু করছেন নানা জায়গায় । গ্ৰামীণ এলাকার পাশাপাশি শহর বর্ধমানেও বিক্ষোভ নাগরিকদের একাধিক জায়গায় । বর্ধমানের বেড় উচ্চ বিদ‍্যালয় , বানীপীঠ উচ্চ বিদ‍্যালয় , বড়নীলপুর আচার্য্য দুর্গাপ্রসন্ন বিদ‍্যামন্দির সহ আরো একাধিক স্কুলের সামনে দফায় দফায় বিক্ষোভ । এমনকি বড়নীলপুরে রাতের অন্ধকারে প্রতিবাদ মিছিলেও পা মেলালেন স্থানীয় পুরুষ , মহিলা সকলেই । বিদ‍্যালয়ের মূল গেটে পোষ্টার ও সাঁটিয়ে দিলেন এলাকাবাসী কোয়ারেন্টিন সেন্টার অন‍্যত্র সরিয়ে নেওয়ার দাবীতে । লকডাউনের মধ‍্যেই সামাজিক দূরত্ব শিকেয় তুলে মিছিল হল এলাকায় । যাকে ঘিরে সরগোল এলাকাজুড়ে । প্রশাসন থেকে কোনো ঘোষনাই হয় নি । তার আগেই আগাম আশঙ্কায় সকাল থেকে রাত অবধি বর্ধমান শহর ও সংলগ্ন বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ চললো । রাতের অন্ধকারে বর্ধমান ২ ব্লকের শক্তিগড়ে সাফদার হাসমি উচ্চ বিদ‍্যালয় ঘেরাও করে তুমুল বিক্ষোভ দেখালেন এলাকাবাসী বলে জানা গেছে । জনবহুল এলাকায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান । মানুষের যাতায়াত রয়েছে । এখানে পরিযায়ী শ্রমিকদের জন‍্য কোয়ারেন্টিন সেন্টার করা চলবে না । সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়বে আরো এই ভাবনাতেই সব জায়গায় বিক্ষোভের পারদ চড়ছে । একদিকে হাজার হাজার পরিযায়ী শ্রমিকরা রাজ‍্যে ফিরছে , অন‍্য দিকে কোয়ারেন্টিন সেন্টার এ তাদের রাখতে গিয়ে বাধা তৈরী হচ্ছে , আবার আক্রান্তের সংখ‍্যাও বাড়ছে প্রতিদিন সবমিলিয়ে প্রশাসনের ঘাড়ে চাপ বাড়ছে প্রতিনিয়ত । একাংশ মানুষ বিক্ষোভে সামিল হলেও বহুজন পাল্টা মত ও প্রকাশ করছেন । যারা আন্দোলন করছেন এই দুঃসময়ে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব‍্যবস্থা নেওয়ার দাবী উঠছে । এমনকি কেউ বলছেন যারা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এর ঘর ব‍্যবহার এর ক্ষেত্রে বিরোধীতা করছে তাদের বাড়িতে পাঠানো হোক পরিযায়ী শ্রমিকদের  । কেউ বলছেন এই আন্দোলনকারীদের বাড়ির বিদ‍্যুৎ ও পানীয় জলের পরিষেবা বন্ধ করুক প্রশাসন । ফলে কোয়ারেন্টিন সেন্টার করা নিয়ে চাপানউতোর  চলছে বহু জায়গায় । পরিস্থিতি কড়া হাতেই মোকাবিলা করা হবে বলে জানাচ্ছেন জেলা প্রশাসনের কর্তারা ।





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।